একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের ধনকুবের নেতা ও একাত্তরের আলবদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের অভিযাত্রায় একে বড় অগ্রগতি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
কারণ জামায়াতের প্রধান অর্থ জোগানদাতা মীর কাসেম আলী এই বিচার ব্যাহত করার লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রভাবশালী লবিস্ট নিয়োগ করেছিলেন তিনি। গতকাল শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২-এ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ওই কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার বণিক। কাশিমপুর কারাগারে এই প্রথম মানবতাবিরোধী কোনো অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর করা হলো। ফাঁসি কার্যকর করার পর কারাগারে নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। রাতেই র্যাব ও পুলিশ প্রহরায় লাশ নিয়ে যাওয়া হয় মানিকগঞ্জে মীর কাসেম আলীর গ্রামের বাড়িতে।
একাত্তরের জল্লাদ আলবদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষ নেতা মীর কাসেম আগের দিন শুক্রবার বিকেলে জানিয়ে দেন যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে তিনি আবেদন করবেন না। এর পরই তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল দুপুরে মীর কাসেমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। সাজা কার্যকর করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশ দুপুরের পর পৌঁছায় কাশিমপুর কারাগারে। বিকেলে মীর কাসেমের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের।
মীর কাসেমের পরিবারের সদস্যসহ ৪২ স্বজন গতকাল বিকেলে কাশিমপুর কারাগারে যান তাঁর সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করতে। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জনকে কারাগারে ঢুকতে দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টা পর্যন্ত জেলর নাশির আহমেদের অফিসকক্ষে মীর কাসেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎকাল তাঁরা সাংসারিক বিষয়াদি নিয়েও আলাপ করেন। স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুনের সঙ্গে আলাদাভাবে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন আসামি। স্বজনদের নেওয়া হালুয়া-রুটি খান তিনি।
যেভাবে ফাঁসি : স্বজনরা বেরিয়ে যাওয়ার পর কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশ করেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। অন্যদিকে আসামিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয় সেলে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কারাগার মসজিদের পেশ ইমাম মো. বেলাল উদ্দিন প্রবেশ করেন কারাগারে। রাত সোয়া ৮টার দিকে তিনি কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মীর কাসেম আলীর সেলে যান। পরে সেল থেকে বের করে এনে আসামিকে গোসল করানো হয়।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার খান ও কারাগারের চিকিৎসক সেলে যান আসামির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে। তাঁরা দুজন বেরিয়ে গেলে ইমাম বেলাল উদ্দিন আবারও সেলে যান। তিনি রীতি অনুযায়ী আসামিকে তওবা পড়তে বলেন। ওই সময় মীর কাসেম বলেন, নিজের তওবা তিনি নিজেই পড়বেন। তার পরও ইমাম বেলাল উদ্দিন তাঁকে তওবা পড়ান।
এর আগে রাত ৮টার দিকে মীর কাসেমকে তওবা পড়ান কারাগার মসজিদের ইমাম বেলাল উদ্দিন। এর আগে ইমামকে সঙ্গে নিয়ে কারা কর্মকর্তারা ৪০ সেলে থাকা মীর কাসেমের কাছে যান। কারা কর্মকর্তারা কাসেমকে জানিয়ে দেন যে এটাই তাঁর শেষ রাত। তাই তাঁকে তওবা পড়তে হবে। এরপর ইমাম সাহেব তাঁকে তওবা পড়ান। ফাঁসি কার্যকর করার মিনিট দশেক আগে সশস্ত্র কারারক্ষীসহ কনডেম সেলে যান জল্লাদরা। কারা সূত্রে জানা যায়, এর আগেই মীর কাসেম আলী ওজু করে খাওয়া-দাওয়া সেরে নেন।
জানা গেছে, রাত ১০টা ২২ মিনিটে জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে চার জল্লাদ কনডেম সেলে যান। অন্য জল্লাদরা হলেন দ্বীন ইসলাম, শাহিন ও রিপন। ওই সময় সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক, সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার খান ও কারাগারের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিনিয়র জেল সুপার আসামিকে জানান যে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হবে। প্রস্তুতি নিলে জল্লাদ শাহজাহান আসামির দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরান। পরে জমটুপি পরিয়ে তাঁকে সেলের বাইরে আনা হয়। আসামি স্বাভাবিকভাবেই হেটে ফাঁসি মঞ্চের দিকে যান। রাত ১০টা ২৫ মিনিটে আসামিকে ফাঁসির মঞ্চে উঠানো হয়। এরপর গলায় রশি পরিয়ে দেন জল্লাদ শাহজাহান। রাত ১০টা ৩০ মিনিটে জল্লাদ শাহজাহান লিভার টানেন। ঝুলে পড়েন আসামি। তাঁকে ফাঁসির দড়িতে ২০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে ফাঁসির কূপ থেকে ওপরে উঠিয়ে এনে পায়ের রগ কাটা ও ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।
ফাঁসি কার্যকর করার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আইজি প্রিজনস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন উর রশীদ প্রমুখ।
এর আগে রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে অতিরিক্ত পুলিশ প্রহরায় তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করে। ৯টা ৩৫ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম ও সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার।
কারাগারের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের ভিড় : কাশিমপুর কারাগারের সামনে গতকাল বিকেল থেকেই উপস্থিত হন অনেক মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের মধ্যে ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মীর কাসেম সৌদি আরব থেকে জাকাতের অর্থ এনে এ দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করেছে। ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর তার সব প্রতিষ্ঠান-সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানাচ্ছি। তার ফাঁসির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমের আত্মা শান্তি পাবে।’ একই ধরনের কথা বলেন ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধা আক্রাম হোসেন। পরে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবর শুনে মুক্তিযোদ্ধারা উল্লাসে ফেটে পড়েন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এ নিয়ে ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর করা হলো। এর আগে ১০ মে রাত ১২টার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর করা হয় জামায়াতের আমির ও একাত্তরের আলবদরপ্রধান মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি। আলবদরের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপির প্রভাবশালী নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করা হয় গত বছরের ২১ নভেম্বর রাত ১২টার পর। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয় একই বছরের ১১ এপ্রিল। তারও আগে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে ফাঁসি কার্যকর করা হয় জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার।
কাশিমপুর কারাগার ও আশপাশের এলাকায় গতকাল সকাল থেকে ধাপে ধাপে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। বিকেলে রাজধানী ও গাজীপুরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
স্বজনদের সাক্ষাৎ : গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কাশিমপুর কারগার থেকে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়, শেষবারের মতো মীর কাসেমের সঙ্গে তাঁরা দেখা করতে পারেন। এ খবর পাওয়ার পর পরই ঢাকার মণিপুর রহমত মঞ্জিল থেকে ছয়টি মাইক্রোবাসযোগে কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশে রওনা দেন মীর কাসেমের স্ত্রী, দুই মেয়ে, দুই পুত্রবধূসহ ৪২ জন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা কারাগারের সামনে পৌঁছান। পরে পৌনে ৫টার দিকে ৩৮ জনকে কারাগারে ঢোকার অনুমতি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা গিয়ে মীর কাসেমের সঙ্গে এক ঘণ্টার বেশি সময় কথা বলেন।
কারাগার থেকে বেরিয়ে মীর কাসেমের স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খানম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাঁর স্বামী অপরাধ করেননি। তিনি বলেন, ‘যারা আমার স্বামীকে ফাঁসি দিচ্ছে তারা পরাজিত হবেই। সন্তানের জন্য উদ্বেগ জানাচ্ছি। আমরা আশাবাদী, সন্তান ফিরে আসবে।’
কারা কর্মকর্তাদের দফায় দফায় বৈঠক : গতকাল দুপুর দেড়টায় অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. ইকবাল হাসান কাশিমপুর কারাগারে যান। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২-এ ঢোকেন ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স গোলাম হায়দার। তাঁরা গিয়ে জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক ও জেলারসহ সংশ্লিষ্ট কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন।
কঠোর নিরাপত্তা : মীর কাসেম গত শুক্রবার রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করবেন না বলে জানানোর পর থেকেই কাশিমপুর কারাগারের সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো শুরু হয়। দুপুর থেকেই কারাগারের সামনের রাস্তাটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। গতকাল সকাল থেকেই পুরো কারাগার এলাকায় র্যাব-পুলিশ, এপিবিএন মোতায়েন করা হয়। বিকেলে নামানো হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের দিয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়। দুপুরের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই এলাকার দোকানপাট। কারাগার ঘিরে তৈরি করা হয় কঠোর নিরাপত্তা বলয়। গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন উর রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, কয়েক স্থরের নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে নিরাপত্তা দিতে ঢাকায় ছয় প্লাটুন এবং গাজীপুরে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
লাল খামের চিঠি গেছে গ্রামের বাড়িতেও : মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গাজীপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করে চিঠি পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। একই চিঠি পাঠানো হয় মানিকগঞ্জে মীর কাসেমের গ্রামের বাড়িতেও। লাল খামে ভরে গতকাল সকাল ১১টায় বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে চিঠিগুলো পাঠানো হয়। এ ছাড়া ফাঁসি কার্যকর করার সময় নির্ধারণের জন্য একটি চিঠি পাঠানো হয় কারা মহাপরিদর্শকের কাছে।
প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্ত নিতে কালক্ষেপণ : প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সিদ্ধান্ত জানাতে কয়েক দফা সময় নেন মীর কাসেম আলী। তাঁর করা রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন গত মঙ্গলবার সকালে খারিজ করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওই দিনই সন্ধ্যায় রায় প্রকাশ করা হয়। রাতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হয়ে আদেশ পৌঁছানো হয় কাশিমপুর কারাগারে। পরদিন বুধবার সকালে তাঁকে আদেশ পড়ে শোনানো হয়। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না। ওই দিন তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় চান। তাঁর পরিবারের সদস্যরা ওই দিন দেখা করে বেরিয়ে এসে বলেছিলেন, তাঁর ছেলে গুম অবস্থায় আছেন। তাঁকে না দেখা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন না তিনি। বৃহস্পতিবার আবারও কারা কর্তৃপক্ষ মীর কাসেমের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে তিনি আরো সময় চান। পরদিন চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেন যে তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন না।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে। এ মামলায় তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। রাষ্ট্রপক্ষে আনা ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে দুটিতে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি আটটিতে ৭২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মীর কাসেম আলী আপিল করেন। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখে গত ৮ মার্চ সংক্ষিপ্ত রায় দেন।
No comments:
Post a Comment