শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ব সংবাদমাধ্যম ব্রেকিং আকারে তা গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করতে থাকে। খবর আসে বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স, গার্ডিয়ান,
দ্য হিন্দু, এনডিটিভি, দ্য ডনসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। আল-জাজিরা তাদের প্রতিবেদনের শিরোনামে মীর কাসেমের পরিচয় প্রসিদ্ধ নেতা উল্লেখ করে জানায়, বাংলাদেশে সম্পদশালী ধনকুবের ও সবচেয়ে বৃহৎ ইসলামী দলের অর্থ যোগানদাতাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। তবে তার যুদ্ধাপরাধের দায় উল্লেখ করা হলেও আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল।
অপরদিকে বিবিসির খবরে মীর কাসেম আলীকে টাইকুন বা ধনকুবের আখ্যা দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামপন্থী দলের অর্থদাতা ও নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, নির্যাতন ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো সহ অন্যান্য জঘন্য অপরাধ সংঘটনের দায়ে জামায়াতে ইসলামী দলের মূল আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতাকারী মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবরের পর শত শত উল্লসিত মানুষ রাজপথে নেমে আসে। তারা ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন। ব্রিটেনের দি গার্ডিয়ান পত্রিকায় বলা হয়, ইসলামিস্ট হ্যাংগড ফর অ্যাটরোসিটিস কমিটেড ইন বাংলাদেশ ওয়ার। এতে বলা হয়, মীর কাসেম আলীকে ১৯৭১ সালে সংঘটিত হত্যা, নির্যাতনসহ অন্যান্য অপকর্ম সংঘটনের অপরাধে ফাঁসি দেওয়া হয়।
ভারতের দি হিন্দুর খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ এক্সিকিউটস জামায়াত লিডার মীর কাসেম আলী। সেখানে আরও বলা হয়, মীর কাসেম কুখ্যাত মিলিশিয়া আল বদর বাহিনীর নেতা ছিলেন। তার নেতৃত্বাধীন আল বদর বাহিনী বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আল বদর বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় হত্যা, নির্যাতনসহ অন্যান্য অপকর্ম সংঘটনের অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর প্রধান অর্থদাতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকাতেও গুরুত্বের সঙ্গে ছাপা হয় মীর কাসেম আলীর ফাঁসির খবর। সেখানে বলা হয়, একাত্তর সালে সংঘটিত অপরাধের দায়ে প্রধান পৃষ্ঠপোষক মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, মীর কাসেম আলী ১৯৭১ সালের মীর কাসেম ছিলেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আল বদর বাহিনীর অন্যতম প্রধান নেতা, পরবর্তীতে তিনি শিপিং এবং রিয়েল এস্টেট টাইকুনে পরিণত হন।
No comments:
Post a Comment