যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী বিখ্যাত ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এই মামলাটিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের প্রতি একটি হুঁশিয়ারি বার্তা হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। ট্রাম্পের জীবনীকার বলেছেন, এই মামলার মাধ্যমে ট্রাম্প গণমাধ্যমকে তার পরিবার থেকে দূরে থাকার কথাই বলছেন, বিশেষ করে তার স্ত্রীর কাছ থেকে।
গত বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ডেইলি মেইলের বিরুদ্ধে ১৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে একটি মামলা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড স্টেট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ ছাড়া ওয়েবস্টার টার্পলি নামে এক ব্লগারের বিরুদ্ধেও আদালতে অভিযোগ করেছেন মেলানিয়া।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের আইনজীবী চার্লস হার্ডার বলেন, "মামলার অসামিরা মিসেস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১০০% মিথ্যা কয়েকটি উক্তি করেছে। যা তার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত খ্যাতি নষ্ট করেছে। আর এসব মিথ্যাচার যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের সামনে প্রচার করেছে। যার কোনো নায্যতা নেই।"
"তাদের মিথ্যাচারগুলোর একটি হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগে তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ১৯৯০র দশকে যৌনকর্মী ছিলেন। আসামিদের এসব প্রচারণা এতটাই মর্মান্তিক, দূষিত ও ক্ষতিকর যে এতে মেলানিয়ার যে ক্ষতি হয়েছে তার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার।"
ওয়াশিংটন ডিসির সীমান্ত সংলগ্ন একটি উপশহরীয় এলাকার মন্টেগোমারি কাউন্টিতে মামলাটি করেন মেলানিয়া ট্রাম্প। আগস্টে ডেইলি মেইলে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে দাবি করা হয় মেলানিয়া ট্রাম্প ১৯৯০র দশকে যৌনকর্মী ছিলেন। এ কারণেই বিশ্বখ্যাত পত্রিকাটির বিরুদ্ধে মামলা করেন মেলানিয়া।
গার্ডিয়ানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জীবনীকার ওয়েইন ব্যারেট বলেন, এই মামলার মাধ্যমে ট্রাম্প মূলত অন্যান্য প্রতিবেদক, প্রকাশক ও সংবাদ সংস্থাগুলোকেই পরোক্ষ এই হুমকি দিলেন যেন তার স্ত্রীকে নিয়ে আর ঘাটাঘাটি না করা হয়। ওয়েইন ব্যারেটের বিরুদ্ধেও অতীতে একবার মামলা করেছিলেন ট্রাম্প।
'ট্রাম্প : দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অ্যান্ড ট্রাম্প : দ্য ডিলস অ্যান্ড দ্য ডাউনফল' এর লেখক ওয়েইন ব্যারেট বলেন, প্রতিবেদকদের বিরুদ্ধে মামলাবাজিতে আগে থেকেই সিদ্ধহস্ত ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৪০ বছর আগে তিনি একবার তার সঙ্গে 'ব্রেকিং রিপোর্টার'দের বিরুদ্ধে আস্ফালন করেছিলেন। ব্যারেট উল্লেখ করেন, সে সময় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কিছুই লেখা হয়নি।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
No comments:
Post a Comment