জিয়ার ডিএনএ টেস্টের দাবি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর - সময়ের প্রতিধ্বনি

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, September 9, 2016

জিয়ার ডিএনএ টেস্টের দাবি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “জাতীয় সংসদ পবিত্র জায়গা। এখানে কী আছে কে জানে, কুকুর-বিড়াল না কি কে জানে? আমি বলছি, এখানে জিয়াউর রহমানের দেহ নেই।

“আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, ডিএনএ টেস্ট করান। যদি সেখানে জিয়ার দেহ থাকে, তাহলে নাকে খত দিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইব।”

ওই এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর দাবি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদের নকশা ভেঙে সেখানে তার কবর হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুন হওয়ার পর এক পর্যায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সেনা সদস্যদের হাতে নিহত হন তিনি। ঢাকার শেরেবাংলা নগরে সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের মধ্যে তাকে সমাহিত করা হয়।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে শাহবাগে যে শিশুপার্ক রয়েছে তা থাকছে না বলে জানান মোজাম্মেল হক।
সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন ষড়যন্ত করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে দেওয়ার চক্রান্ত হিসেবে সেখানে শিশুপার্ক করা হয়েছে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্র হবে বলে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে কাজকর্ম শুরু হবে।”
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ চেয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, “আদালত থেকে কী রায় আসবে না আসবে সেটার জন্য আমরা বসে থাকব নাকি? আদালতের পারমিশন নিয়ে কি আমরা দেশ চালাব?
“মুক্তিযুদ্ধের সময কি আমরা আদালতের পারমিশন নিয়েছিলাম?”
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা না করা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের বিচার নিয়ে এক মন্তব্যের জন্য আদালত অবমাননার দায়ে দণ্ডিত দুই মন্ত্রীর একজন মোজাম্মেল।
এ প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন, “আদালত নিয়ে কথা বলতে গেলেই অনেক কথা। প্রতিদিন শত শত লোক ফোন করে জিজ্ঞাসা করে আমার মন্ত্রিত্ব থাকছে কি না। না থাকলে না থাকব।
“মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমি কারও কাছে বন্ধক রাখিনি। আমি যে সংবিধান লঙ্ঘন করেছি সেটা পাকিস্তানের সংবিধান। বঙ্গবন্ধুর রচিত সংবিধান আমি লালন করি।
“আমি কথা বললেই আদালতের কথা এসে যায়। তাই বেশি কিছু বলতে চাই না, বললেই ‘কট’। তারপরও বলি, নয় থেকে দশ মাসের বাচ্চা, চার বছরের শিশু কীভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়? হাই কোর্ট থেকে এদের পক্ষে রায় নিয়ে এসেছে। ওখানে বলা হয়েছে তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়ার জন্য।”
ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে  ‘একাত্তরের গণহত্যা থেকে গুলশান হত্যাকাণ্ড: বিচার বিঘ্নিতকরণের চক্রান্ত’ শিরোনামে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

কমিটির উপদেষ্টা সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শহীদজায়া পান্না কায়সার ও শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, মফিদুল হক, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages