যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বিষয়ে সতর্ক করলেন আইনমন্ত্রী - সময়ের প্রতিধ্বনি

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, September 9, 2016

যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বিষয়ে সতর্ক করলেন আইনমন্ত্রী

যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বিষয়ে সতর্ক করলেন আইনমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা ষড়যন্ত্র এগিযে নিয়ে যাবে। ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাবে।


“এই যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা কোনো সময়ই আমাদের মতাদর্শের হবে না। তাই তাদের থেকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।”
একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক হতে পারবে না। তারা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক থাকবে। তারা কখনও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। কোনো সরকারি চাকরি পাবে না।”
পাকিস্তানের শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে একাত্তরে যখন সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয় মুক্তিকামী বাঙালি, সে সময় দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ নেয় তাদের এদেশীয় দোসররা।
মুক্তিযুদ্ধকালে দেশের মানুষের ওপর হত্যা, নির্যাতন, লুটতরাজ ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে তাদের এখন বিচার চলছে।
যুদ্ধাপরাধে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ছয়জনের ফাঁসি এরইমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে. যাদের পাঁচজনই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর নেতা।   
ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে ‘একাত্তরের গণহত্যা থেকে গুলশান হত্যাকাণ্ড: বিচার বিঘ্নিতকরণের চক্রান্ত’ শিরোনামে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন দুই মন্ত্রী।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ওই আলোচনায় যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে নতুন আইন প্রণয়নের কথা বলেন আইনমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে কীভাবে শহীদ পরিবার এবং সাধারণ জনগণের উপকারে আসে তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা হবে।”
যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থানান্তর করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে জনগণের মতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “যেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে, তা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।”
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে শহীদজায়া পান্না কায়সার ও শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, মফিদুল হক, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন বক্তব্য দেন।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages