বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন।
শনিবার রাতে তিনি বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীর কবর সংসদ ভবন এলাকায় থাকতে পারে না। এই খুনি জিয়ার কবর সরানোর প্রক্রিয়া চলছে।”
জিয়ার কবর সরানোর জন্য কিছুদিন আগে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে দরখাস্ত করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “দৃশ্যমান কিছু না হওয়ায় শনিবার ওনার (স্পিকার) সাথে দেখা করে জোরালোভাবে বলে এসেছি, যেন খুব দ্রুত সংসদ এলাকা থেকে খুনি জিয়ার কবর সরানো হয়।”
স্পিকার কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি জোরালোভাবে বলে এসেছি। বাকিটা উনি দেখবেন। আশা করি খুব দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে। আর প্রক্রিয়া তো চলছেই।
“জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং যুদ্ধ পরবর্তী ভূমিকাও বিতর্কিত। সংসদ এলাকায় তার (জিয়া) কবর থাকতে পারে না।”
এদিকে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এখন সেটি প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়।
২০০৩ সালে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। সে সময় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট একদল সেনা সদস্যের হাতে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুন হওয়ার পর এক পর্যায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সেনা সদস্যদের হাতে নিহত হন তিনি।
ঢাকার শেরেবাংলা নগরে সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের মধ্যে তাকে সমাহিত করা হয়।
No comments:
Post a Comment