একটি ভালো মানের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের দাম নেহাত কম হবেনা। বর্তমান বাজারে এর পেছনে ৩০ থেকে ১ লাখ পর্যন্ত খরচা হতে পারে। হালের ক্রেজ স্যামসাং এস৭ এজ বা মটোরোলা মটো জেড’কে আমরা দামী স্মার্টফোন হিসেবে জানি।
তাই বলে ২০১৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ১০টি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের কাতারে এগুলোর জায়গা নেই। জানা যাক এই তালিকায় রয়েছে আসলে কোনগুলো।
ভার্চু সিগনেচার টাচ ফর বেন্টলি:
সৌখিন মানুষের প্রথম পছন্দ হতে পারে এটি। অ্যান্ড্রয়েড ৫.১ ললিপপ ওএস চালিত ৩জিবি ৠামের এ ফোনের পর্দার সাইজ ৫.২ ইঞ্চি। স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির পাশাপাশি ফোনটি তৈরিতে হাতের ছোঁয়াও আছে। এর পেছনে হাতে খোদাই করা লগো আর কেসিংয়ে টাইটিয়ামের পলিশ এর জৌঁলুস বাড়িয়েছে অনেকখানি। ফোনটির জন্য গুণতে হবে ৯ হাজার ডলার, বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৭ লাখ ১১ হাজার টাকা।
মোবিয়াদো গ্রান্ড টাচ ইএম মার্বেল:
টাইটিয়াম আর চামড়ার মিশেলে তৈরি ৪.৬৫ ইঞ্চি পর্দার এই ফোনটির সৌন্দর্য বর্ধনে বসানো হয়েছে খচিত পাথর। ফিচারের ক্ষেত্রে আহামরি কিছু না থাকলেও, এর পিছনে সৌন্দর্য বাড়াতেই সব খরচ হয়েছে। দাম ৩ হাজার ১শ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
গ্রাছো রিগ্যাল গোল্ড:
সোনার ফোনের মালিক হওয়ার স্বপ্ন থাকলে পুরণ করবে গ্রাছো রিগ্যাল গোল্ড। ফিচারের আধিক্য কম থাকা এই ফোনটি তৈরি করা হয়েছে মাত্র ৯৯৯টি। পুরোন অ্যান্ড্রয়েড ওএস, সামনে ও পেছনে যথাক্রমে ৫ ও ১৩ এমপি ক্যামেরার ফোনটির পর্দা ৫ ইঞ্চি। সাদা ও হলুদ রংয়ের স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত হ্যান্ডসেটটির দাম ৬ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মূল্যে যা প্রায় ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
ডিওর রেভারিস অ্যাওট কোচিও:
হীরক আর মুক্তা খচিত ফোনটিতে অন্তর্ভূক্ত অ্যান্ড্রয়েডের পুরনো ভার্সন, ৫ এমপি ক্যামেরা সবকিছু সাধারন মনে হলেও দাম কিন্তু অসাধারন। ডলারে এর মূল্য ১ লাখ ২ হাজার ২’শ ২২ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৮০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
সেভেলি জারডিন-সিক্রেট হোয়াইট আইস:
মহিলাদের কথা চিন্তা করে নকশা করা হয়েছে ফোনটি। সাদা চামড়া, স্বর্ণ দিয়ে আপাদমস্তক আবৃত ফোনটির পর্দা মাত্র ৩.২ ইঞ্চি। ১০ হাজার ডলারের এ ফোনের বাংলাদেশি মূল্য প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
শিরিন সোলারিন:
চামড়া, স্বর্ণ আর কার্বন ফাইবারে মোড়ানো এই ফোনটি এ যাবত কালের সবচেয়ে সুরক্ষিত ফোন বলে বিবেচিত। ২৩.৮ এমপি ক্যামেরার ফোনটি সর্বাধুনিক উইগিগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে ৭জিবি ডাটা ট্রান্সফারে সক্ষম। ১৬ হাজার ডলারের শিরিন সোলারিনের বাংলাদেশি মূল্য প্রায় ১২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
টনিও ল্যাম্বোরগিনি ৮৮ টাওরি:
ল্যাম্বোরগিনি নাম শুনলেই গাড়ির কথা চলে আসে। গাড়ির জগতে এটি নামী ব্র্যান্ড। তেমনিভাবে টনিওআভিজাত্যের এক প্রতীক। ৩জিবি ৠাম আর ৫ ইঞ্চি পর্দার ফোনটি তৈরি হয়েছে চামড়া ও স্টিল দিয়ে। দাম ৬ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ লাখ ৭৪ হাজার।
গোল্ডভিশ একলিপস:
চামড়া আর টাইটেনিয়াম ব্যবহৃত গোল্ডভিশ একলিপসের ওএস অ্যান্ড্রয়েড মার্শাম্যালো। ৫.৫ ইঞ্চি পর্দার এ ফোনের ৠাম ৩ জিবি, স্টোরেজ ৬৪ জিবি। এর জন্য খরচা হবে ৭ হাজার ৭শ ডলার, বাংলাদেশি মূল্য প্রায় ৬ লাখ ৮ হাজার টাকা।
ভার্চু এস্টার কালেকশন:
চামড়া, টাইটেনিয়াম দিয়ে তৈরি বাহারী রঙের এ ফোনটির বিভিন্ন বৈচিত্র থাকায় গ্রাহকদের পছন্দের সুযোগ রয়েছে। ৭ হাজার ডলারে বিক্রি শুরু হওয়া ভার্চূর বাংলাদেশি মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
এস্টন মার্টিন রেসিং ৮০৮:
বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র জেমস বন্ডের ভক্ত হয়ে থাকলে এটি নিশ্চয় ভালো লাগবে। ২ জিবি ৠাম, ১৩ এমপি ক্যামেরা আর ৪.৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটিতে গ্রাহক চাইলে পছন্দমতো হীরা লাগিয়ে নিতে পারবেন। ধরন ভেদে এর দাম পড়তে পারে ৬ থেকে ২৪ হাজার ডলার পর্যন্ত।
No comments:
Post a Comment