কিভাবে খুব সহজেই পেতে পারেন স্বপ্নের মালয়েশিয়ায় ব্যবসার ভিসা - সময়ের প্রতিধ্বনি

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Monday, September 5, 2016

কিভাবে খুব সহজেই পেতে পারেন স্বপ্নের মালয়েশিয়ায় ব্যবসার ভিসা

 স্বপ্নের মালয়েশিয়া
 অভিবাসন প্রত্যাশী ‍বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়া এখন সত্যিকার অর্থেই এক স্বপ্নের দেশ। অভিবাসীবান্ধব আইন, নানা জাতি ও সম্প্রদায়ের সম্প্রীতিপূর্ণ বসবাস, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও তুলনামূলক কম করের কারণে বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির এই দেশটিতে অভিবাসনের আগ্রহ দিন দিনই বাড়ছে। তাদের জন্য চীন সাগর আর মালাক্কা প্রণালীর বেড়ে শুয়ে থাকা দেশটিতে রয়েছে কয়েক ধরনের ভিসায় বৈধভাবে ব্যবসা ও বসবাসের সুযোগ।

 কিন্তু সঠিক তথ্য ও পদ্ধতি জানা না থাকায় দেশটিতে গিয়ে প্রতিনিয়তই প্রতারিত হচ্ছেন অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশিরা। দালাল সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে কেউ হয়তো সর্বশান্ত হয়ে দেশে ফিরছেন, আবার কাউকে টানতে হচ্ছে জেলের ঘানি।

তাই সম্ভাবনাময় মালয়েশিয়ায় ব্যবসা ও বসবাসের সবটুকু সুযোগ নিতে হলে আপনাকে প্রথম থেকেই সঠিক পরিকল্পনা ও দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী এগুতে হবে। বেছে নিতে হবে আপনার জন্য সঠিক ভিসাটি। স্বচ্ছভাবে ও সঠিক ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আপনিও অতি সহজেই মালয়েশিয়ায় প্রচুর উপার্জনের সুযোগ নিতে পারেন। পেতে পারেন যে কোনো দেশের তুলনায় কম খরচে, সহজে ও নিরাপদে বিনিয়োগের সুযোগ।

কার্যত মালয়েশিয়া সরকার ব্যবসার বাজার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় দেশটিতে এখন বাংলাদেশিদের জন্য বড় ধরনের বিনিয়োগের পাশাপাশি স্বল্প পুঁজির ব্যবসার দুয়ারও অবারিত।

এ বিষয়ে আইনগত দিক ও প্রকৃত অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হয় আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন আইন বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, স্বল্পপুঁজির বিনিয়োগকারীদের জন্য মালয়েশিয়া প্রকৃতপক্ষেই একটি ভালো সমাধান। সারা বিশ্ব থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ বেড়াতে আসে দেশটিতে। এশিয়া মহাদেশের সবটুকু স্বাদ তারা গ্রহণ করতে চায় মালয়েশিয়া থেকেই।
ড. রাজু বলেন, দেশটিতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি ও ভারতীয়সহ নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার লোকজন বসবাস করছে। ভোক্তা হিসাবে এরাও একটি বিশেষ স্থানে রয়েছে। একই স্থানে বিভিন্ন জাতির এই বিপুল ভোক্তাদের চাহিদা মেটানো সম্ভব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে। তাছাড়া জমি-জমা লিজ নিয়ে কৃষি খামার, মৎস্য চাষ, ডেইরি ফার্ম বা মানুষের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি করে বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ভালো আয় করা যায়। করা যায় গাড়ি বিষয়ক ব্যবসা  বা খাবার ও থাকার ছোট-বড় হোটেল। চেইন শপ এর ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে বা আইটি রিলেটেড ব্যবসা, এমনকি ফাস্ট ফুডের দোকানও প্রতিষ্ঠা করা যায় সহজেই।

মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করতে হলে আপনাকে প্রথমেই একটি কোম্পানি খুলতে হবে। ফেরতযোগ্য জামানত হিসেবে অল্প পরিমান টাকা ব্যাংক একাউন্টে রেখে কোম্পানি খুলে যে কোন ধরনের ব্যবসা করা যাবে। জেনে রাখা ভালো, মালয়েশিয়ায় ট্যাক্স দিতে হয় লাভের উপরে এবং পরিমাণেও তা অতি অল্প।

আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা করলে পাঁচ বছর পর মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব (পিআর) পাওয়া যায় বেশ সহজেই। ২ বছর পর পর ভিসা নবায়ন করে আজীবন বসবাস করা যায় এবং ৫ বছর পর স্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। ইতিমধ্যে গত কয়েক বছরে বহু বাংলাদেশি স্থায়ী নাগরিকত্ব বা মালয়েশিয়ান পাসপোর্ট পেয়েছে।

ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু জানান, সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করলে পি.আর রিফিউজড হবার সম্ভবনা থাকে না। এ ধরনের কোম্পানির ক্ষেত্রে বড় সুবিধা হল কোনো মালয় নাগরিকের সুপারিশ প্রয়োজন হয় না। এমনকি অন্য কোনো সংস্থা থেকেও কোনো প্রত্যয়নপত্র (রিকমন্ডেশন লেটার) দেখাতে হয় না। আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে ব্যবসায়ী ভিসা নিলে মালয়েশিয়া থেকে পৃথিবীর ৭৩টি দেশে মাত্র তিন শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব।
মালেয়শিয়াতে দু’ভাবে কোম্পানি খুলে ব্যবসা করা যায়। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে ১০০ শতাংশ ফরেন শেয়ারে বা লিমিটেড কোম্পানির মাধ্যমে এমপ্লয়মেন্ট পাস নিয়েও যে কেউ বৈধ ভিসায় সপরিবারে বসবাস ও ব্যবসা করতে পারেন অতি সহজেই। তবে লিমিটেড কোম্পানির অধীনে ভিসা প্রাপ্তির জটিলতা অনেক বেশী। ভিসা নবায়ন করার সময়ে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে ভিসা প্রাপ্তির কোন জটিলতা নেই বললেই চলে।
এছাড়া দেশটিতে আপনার প্রয়োজন ও যোগ্যতা অনুযায়ী ফাউন্ডেশন ভিসা নিতে পারেন। যাতে ২ বছরের স্টিকার দেওয়া হয় এবং তা নবায়ন করে দীর্ঘদিন বসবাস করা যায়। এই ভিসার বিশেষত্ব হলো, ৫ বছর পর স্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায় ও পরিবারসহ বসবাস করা যায়। ট্যাক্সও দিতে হয় কম।
এছাড়া মাইডা ভিসাও নিয়ে পরিবারসহ ৬ বছর মালয়েশিয়ায় বসবাস কর‍া যায়। RPT-Talent/ Talent  নবায়ন যোগ্য ভিসার মাধ্যমে ১০ বছরের অনুমতিসহ ৫ বছরের স্টিকার নিয়ে দীর্ঘ সময় মালয়েশিয়ায় থাকা যায়। যারা সল্প সময়ের কোন প্রশিক্ষণ নিতে চান, তারা নিতে পারেন ১ বছরের ট্রেনিং ভিসা।
গত কয়েক বছর ধরেই মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নাগরিকদের বিজনেস রেসিডেন্স ভিসাসহ অন্যান্য ভিসা নিয়ে কাজ করছেন ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু।
কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স, এটিএম কার্ডসহ একাউন্ট ওপেনিং ইত্যাদি সব ধরনের  ব্যবসা স্থাপনে সকল প্রকার আইনগত সহযোগিতা দিয়ে আসছেন তিনি।
বাংলানিউজকে ড. রাজু বলেন, সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৩০ থেকে ৪০ কার্য দিবসের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কাগজপত্র তৈরি হয়ে গেলে নির্দিষ্ট কনসালটেন্সি ফার্মের মাধ্যমে প্রার্থীকে ডেকে নেয় মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিস। এরপর মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে ভিসা নিতে হয় প্রার্থীকে।
তিনি বলেন, আমি কখনোই মালয়েশিয়ায় ক্যাটাগরি ২ ও ৩ বা অন্য কোন ধরনের ওয়ার্ক ভিসা বা সেকেন্ড হোম নিয়ে কাজ করি না। প্রকৃত ও যোগ্য বাংলাদেশের নাগরিকদের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে সঠিক রাস্তা দেখানোই আমার কাজ। সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাগজপত্র দাখিল করলে কোনো প্রার্থীরই আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

মালয়েশিয়ায় নাগরিকত্ব পেতে এবং বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা পেতে কি কি করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন advahmed@outlook.com বা raju.advocate2014@gmail.com এই ই-মেইল ঠিকানায়। আরো জানতে ভিসিট করতে পারেন www.wwbmc.com. ওয়েবসাইটে। সরাসরি ড. শেখ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে WhatsApp or Viber এ কথা বলতে বা যোগাযোগ করতে পারেন +৬০১৬৮১২৩১৫৪ ও +৬০১৪৩৩০০৬৩৯ নাম্বারে। অথবা আপনি ঢাকার উত্তরায় ৭ নং সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও খোঁজ নিতে পারেন। প্রাথমিক তথ্যর জন্য ফোনে কথা বলতে পারেন 01966041555, 01966041999,  01977014778, 01966041888, 01966041333, 01993843339, 01993843340 নাম্বারে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages