ঈদ সামনে রেখে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করেছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা; পশু ও আকারভেদে এবার দাম ঠিক করা হয়েছে গতবারের চেয়ে সামান্য কম।
ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া কিনবেন ৫০ টাকায়; ঢাকার বাইরে এর দাম হবে ৪০ টাকা।
এছাড়া সারা দেশে খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৫ টাকায় সংগ্রহ করা হবে।
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সভাপতি মহিউদ্দিন মাহমুদ মাহিন শুক্রবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডির এক রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এই দাম ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দরপতন হয়েছে। এছাড়া গতবারের কেনা চামড়ার ৩০ শতাংশ এখনও মজুদ রয়ে গেছে। সব কিছু মিলিয়ে এবারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।”
গত বছর ট্যানারি ব্যবসায়ীরা ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় কিনেছেন। প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত মহিষের চামড়ার দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা; আর সারা দেশে খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকায় সংগ্রহ করা হয়েছিল।
ঈদের এক সপ্তাহ আগে গত সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণের জন্য ব্যবসায়ীদের ৪৮ ঘণ্টা সময় দেন। তারও দুই দিন পর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাম ঘোষণা করা হল।
বাণিজ্যমন্ত্রী সেদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “একটা বাস্তবসম্মত মূল্য তো নির্ধারণ করতে হবে।… জনগণ যাতে চামড়ার ন্যায্য মূল্য পায়, আবার চামড়া শিল্পের ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
প্রতিবছরই চামড়া নিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ ওঠায় সরকার এবার কাউকে ‘সিন্ডিকেট’ করতে দেবে না বলেও সতর্ক করে দেন মন্ত্রী।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দেশে কোরবানির উপযোগী প্রায় ৩৩ লাখ গরু ও মহিষ মজুদ আছে, যা চাহিদার সমান। ফলে এ বছর অন্য দেশ থেকে গরু না আনলেও চলবে।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বছরে বাংলাদেশ থেকে ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরুর চামড়া, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগলের, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া। এর অর্ধেকের বেশি আসে কোরবানির ঈদের সময়।
No comments:
Post a Comment