চট্টগ্রাম: নগরীর একটি বাসায় বাথরুমে পানির ড্রাম থেকে পা বাঁধা অবস্থায় ইকবাল হোসেন চৌধুরী (৫২) নামে এক কলেজ শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কলেজ শিক্ষক ইকবালের মরদেহ উদ্ধার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
ইকবাল হোসেন চৌধুরী বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরীর ছেলে। তিনি নগরীর পাহাড়তলী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।
নগরীর আরাকান সোসাইটি আবাসিক এলাকার দুই নম্বর সড়কের জামান ভবনের তিনতলার ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও এক মেয়ে সন্তান নিয়ে ইকবাল থাকতেন। তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া রাউজান কলেজের শিক্ষক। মেয়ে আফিয়া ইকবাল নগরীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
আফিয়া জানান, সকাল আটটার দিকে তিনি খালার বাসায় যাবার জন্য বাসা থেকে বেরুচ্ছিলেন। আগেই কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান তার মা। বাবা তখন কলেজে যাবার জন্য প্যান্ট-শার্ট পরে তৈরি হচ্ছিলেন।
বিকেল তিনটার দিকে আফিয়া খালার বাসা থেকে বের হয়ে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। বেশ কয়েকবার মোবাইলে কল দিলেও রিসিভ করেনি তার বাবা। এসময় আফিয়া বিষয়টি ফোনে তার মাকে জানায়। তার মায়ের পরামর্শে আফিয়া প্রতিবেশি ও ভবনের নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকে এনে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় তিনি দেখতে পান, বাথরুমের দরজা খোলা।
আফিয়া আরও দেখেন, তার বাবা লুঙ্গি পরা অবস্থায় বাথরুমের ভেতরে আনুমানিক আড়াই হাত লম্বা একটি পানিভর্তি ড্রামের ভেতরে উপুর হয়ে পড়ে আছেন। তার দুই পা মোটা রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ড্রামের পাশে একটি চেয়ারের সঙ্গে লেগে আছে।
বিষয়টি পুলিশকে দ্রুত জানানো হলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ইকবালের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে থাকা নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারি কমিশনার মো.জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কথা বলা হচ্ছে। তবে আমাদের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। কারণ যে প্রক্রিয়ায় মরদেহটি পাওয়া গেছে সেভাবে কারও আত্মহত্যার সুযোগ আছে কিনা তদন্ত করে দেখতে হবে।
‘কলেজে যাবার জন্য রেডি হয়েও তিনি কলেজে যাননি কেন সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। কারও সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা কিংবা জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল কিনা সেটাও দেখতে হবে।’ বলেন জাহাঙ্গীর আলম।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment