টঙ্গীতে গতকাল সোমবার সকালে ‘আল্লাহ আকবর’ ধ্বনি দিয়ে হিন্দু যুবকের নেতৃত্বে মন্দিরে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। ওই যুবকের নাম সঞ্জয় সাহা (২৫)। কয়েকজন সহযোগীকে সঙ্গে গিয়ে সে টঙ্গী বাজার শ্রী শ্রী দুর্গামন্দিরের পুরোহিত অনিল কুমার ভৌমিককে মারধর ও প্রতীমায় লাথি মারার পর ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এলাকাবাসী সঞ্জয় সাহাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
মন্দিরের পুরোহিত অনিল কুমার ভৌমিক ও এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনের মতো গতকাল মন্দিরে তিনি পূজা অর্চনা করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৫/৬ জনের একদল যুবক হঠাত্ ‘আল্লাহ আকবর’ বলে চিত্কার করে মন্দিরে ঢোকে। এসময় সঞ্জয় সাহা মন্দিরে প্রবেশ করে মূর্তি ভাঙচুর করা জন্য উপর্যুপরি লাথি মারতে থাকে। এতে বাধা দিলে সে পুরোহিতকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। হৈ চৈ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সঞ্জয়কে ধরে ফেললেও তার সাথে থাকা অপর যুবকরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে টঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার নাম সঞ্জয় সাহা এবং পিতার নাম গণেশ সাহা বলে জানায়। কিন্তু থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে তার নাম মোবারক হোসেন ও পিতার নাম আবদুল্লাহ বলে জানায়।
পরে পুলিশের লোকজন সঞ্জয়দের ভাড়া বাসা টঙ্গীর জামাইবাজার সফিকুলের বাড়িতে গিয়ে তার নাম সঞ্জয় বলেই সত্যতা পায়। সঞ্জয়ের বাবা গণেশ সাহার বরাত দিয়ে টঙ্গী থানা পুলিশ জানায়, সঞ্জয় ২০১১ সালে বাড়ির কাউকে কিছু না বলেই উধাও হয়ে যায়। এ ঘটনায় তখন টঙ্গী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও স্থানীয় এমপিকে জানানো হয়। গত দেড় বছর আগে সে বাসায় ফিরে আসে। কিছুদিন থাকার পর আবারও বাসা থেকে পালিয়ে যায়। দেড় মাস আগে সে আবার বাসায় আসে। তারপর থেকে সে ইসলামী রীতিনীতি পালন করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে চাপ প্রয়োগ করা হলে তার বাবার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। তখন বলা হয় ‘সে (সঞ্জয়) যা করতে চায়, তাই করতে দিন’ না হলে আপনাদের ক্ষতি হবে। ভয়ে তারা ঘটনাটি পুলিশকে জানায়নি।
বাউফলে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর
পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মদনপুরা গ্রামের পালপাড়া দুর্গা মণ্ডপের দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা ওই ভাংচুরের পর পূজা না করার জন্য অশালীন ভাষায় লেখা একটি চিঠি মন্দিরে রেখে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল সোমবার থেকে সেখানে পুলিশি পাহারা বসানো হয়।
No comments:
Post a Comment