প্রথম সন্তান মেয়ে হলে সে কীভাবে সৌভাগ্য বয়ে আনে? - সময়ের প্রতিধ্বনি

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Thursday, September 22, 2016

প্রথম সন্তান মেয়ে হলে সে কীভাবে সৌভাগ্য বয়ে আনে?

screenshot_312-300x159

সাম্প্রতিক কিছু পরিসংখ্যান এর উপর ভিত্তি করে দেখা যায়, পরিবারের প্রথম সন্তান যদি মেয়ে হয় তবে সে অনেক বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন হয়। কারণ তার অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকে। এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা সম্পন্ন একটি সমীক্ষা অনুযায়ী,
একজন বড় ছেলে একজন প্রথমজাত মেয়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম উচ্চাভিলাষী হয়। আপনি যদি ভালভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন পরিবারের বড় মেয়েরা অনেক সাফল্যের অধিকারী হয় কিন্তু ছেলেরা এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে।
বিজ্ঞানীরা এখন এ বিষয় নিয়ে অনেক গবেষণা করছেন। কেন ঘরের বড় মেয়েরা এগিয়ে যেতে পারে এর পেছনে তারা কিছু তথ্য সংযোগ করেছেন। আসুন জেনে নেয়া যাক সে সকল তথ্য-
১. তারা স্বাভাবিকভাবে বেশি অর্জন করেন:
একই পরিবারের ছেলেমেয়ের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ফলাফল ভাল দেখা যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও নোবেল পুরষ্কার-প্রাপ্তদের মাঝে অর্ধেকের বেশি মানুষ পরিবারের বড় সন্তান। তবে এক্ষেত্রে ছেলেরা এগিয়ে থাকলেও ঘরের বড় মেয়েরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়। মেয়েদের মাঝে সবসময় একটি চাহিদা বিরাজ করে। তারা সবসময় একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যায়।
২. তারা শীর্ষ বিজ্ঞানী হন:
আপনি বিজ্ঞানীদের একটু খোঁজ করলেই জানতে পারবেন যে নারী বিজ্ঞানীদের মাঝে অধিকাংশ তাদের পরিবারের প্রথম সন্তান। তারা বিভিন্ন
কৃতিত্বের অধিকারী। বিজ্ঞানী জেন গুডঅল এর কথাই নেয়া যাক। তিনি একটি গরিলাকে রক্ষা করার জন্য নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেন।
৩. তারা অভিভাবকের ভালবাসা বেশি পায়:
প্রথম সন্তানের প্রতি সকল বাবা-মায়ের একটু বেশি ভালবাসা থাকে। তারা অনেক বেশি যত্নের অধিকারী হন। প্রথম সন্তান তার পরবর্তী ভাইবোনের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি পড়াশোনা করতে পারেন। তাদের আগ্রহও বেশি থাকে।
৪. তারা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী:
ফোর্বসের তথ্যানুযায়ী, প্রথম সন্তান নারী হলে তারা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, খ্রীস্টিন লাগারদে, শেরিল সান্ডবার্গ থেকে শুরু করে অপরাহ উইনফ্রে এবং বেওন্স এরা সবাই ফোর্বস তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মহিলাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এরা সবাই তাদের প্রত্যেকের পরিবারের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
৫. তাদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা বেশি:
এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ ও অর্থনৈতিক গবেষণা ইন্সটিটিউট ফেইফেই বু একটি গবেষণার পর ফলাফলে জানান, পরিসংখ্যানগত হিসেবে জ্যেষ্ঠ কন্যারা তার ভাইবোনের চেয়ে আরও ভাল, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে ভাইবোনের মধ্যে চার বছরের ব্যবধান থাকলে, শিক্ষাগত যোগ্যতায় কনিষ্ঠ সহোদর এর স্তর উন্নতি হতে পারে। জ্যেষ্ঠ কন্যারা তার ভাইবোন এর চেয়ে কৃতিত্বের উচ্চ স্তর কেন ছুঁয়েছে সে হিসাবে অনেক ব্যাখ্যা আছে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages