ফাইল ফটো
রেন্টাল-কুইক রেন্টাল ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য বেসরকারিভাবে জ্বালানি তেল (ফার্নেস অয়েল) আমদানি বন্ধ হচ্ছে। এরই মধ্যে দুটি কোম্পানির আবেদন নাকচ করে দিয়েছে বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন)। বিপিসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জ্বালানি বিভাগকে বলা হয়েছে, বেসরকারিভাবে জ্বালানি তেল আমদানির নামে লুটপাট হচ্ছে। শুল্কমুক্ত তেল আমদানি ও ৯ শতাংশ সার্ভিস চার্জ আদায়ের মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট তেল আমদানির মাধ্যমে বছরে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য যে পরিমাণ তেল লাগে গোপনে তার চেয়ে বেশি তেল আমদানি করছে তারা। ফার্নেস অয়েলের নামে আনছে ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানি তেল। এরপর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবর্তে এই তেল কম দামে খোলাবাজারে বিক্রি করছে। বিপিসি তেল আমদানি করলেও বাজারে চাহিদা না থাকায় সে তেল বিক্রি হচ্ছে না। দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা বেসরকারিভাবে আসা তেলের দিকে বেশি ঝুঁকছে। এ অবস্থায় সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বেসরকারিভাবে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার চিন্তাভাবনা করছে।
বিপিসির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি ১২টি আইপিপি (ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার) শুল্কমুক্ত কোটায় বছরে ১২ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করার অনুমতি পেয়েছে। এই তেল আমদানিতে তাদের কোনো ধরনের শুল্ক দিতে হচ্ছে না। একই সঙ্গে পোর্ট থেকে বিভিন্ন স্থানে তেল পরিবহনের কথা বলে তারা সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৯ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ পাচ্ছে। এতে বিপিসির আমদানি করা তেলের সঙ্গে বেসরকারিভাবে আনা তেলের দামে লিটারপ্রতি ২০ থেকে ২৪ টাকার ব্যবধান তৈরি হচ্ছে। যে কারণে বিপিসি বড় ধরনের রাজস্ব হারাচ্ছে।
বিপিসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহমুদ রেজা খান বলেন, বেসরকারি আইপিপিগুলোর চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল সরবরাহ করার মতো সক্ষমতা আছে বিপিসির। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিপিসির সরবরাহ করা তেল নিচুমানের বলে যে অভিযোগ দেয়া হচ্ছে সেটা সত্য নয় বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের একজন শীর্ষ নেতা যুগান্তরকে বলেন, জ্বালানি বিভাগ ও বিপিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ মাস ধরে বেসরকারিভাবে তেল আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তার মতে, বিপিসির আমদানি করা তেল ভেজাল ও নিুমানের। এই তেল দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালালে দ্রুত মূল্যবান মেশিনপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরিবেশ দূষিত হবে।
সম্প্রতি দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালানি তেল আমদানির অনুমতির জন্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছে। একটি বরকত উল্লাহ পাওয়ার, অপরটি অ্যাক্রন পাওয়ার কোম্পানি। বরকত উল্লাহ পাওয়ারের চাহিদা ৬০ হাজার মেট্রিক টন আর অ্যাক্রনের চাহিদা ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। বার্ষিক অনুমতি শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা এই ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল আমদানির অনুমতি চেয়েছিল। জ্বালানি বিভাগ তাদের দুটি আবেদন বিবেচনার জন্য বিপিসির কাছে পাঠালে বিপিসি তা নাকচ করে দেয়। বিপিসির পক্ষ থেকে জ্বালানি বিভাগকে জানানো হয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটি চালানোর জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত তেল আছে। কাজেই এই মুহূর্তে তাদের তেল আমদানির অনুমতি দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
বরকত উল্লাহ পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রাব্বানী চৌধুরী জানান, বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৪৬ শতাংশ উৎপাদন করছে। যদি তাদের উন্নত মানের তেল আমদানির অনুমতি দেয়া না হয় তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। কাজেই সরকারের উচিত হবে দ্রুত বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে আগের মতো উন্নত মানের তেল আমদানির অনুমতি দেয়া।
সরকার বরকত উল্লাহ পাওয়ারসহ ১২টি (আইপিপি) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে সামিট পাওয়ার নারায়ণগঞ্জ, ইসিপিভি চট্টগ্রাম, সিনহা পিপলস, কেপিসিএল ইউনিট-২, কেপিসিএল-৩, পাওয়ার প্যাক, ডিজিটাল পাওয়ার, ডাচ্-বাংলা ও ওরিয়ন পাওয়ার অন্যতম।
গত অর্থবছরে (২০১৫-২০১৬) বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ১২ লাখ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করেছে। তার আগের অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ ছিল ৯ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে বিপিসি ৪২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তেল সরবরাহ করছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য বেসরকারি খাতে কুইক রেন্টাল, রেন্টাল ও স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদকের কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রি করতে গিয়ে সরকারকে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সরকার জ্বালানি তেলের মূল্যের ওপর যে ৯ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিচ্ছে তা অতিরিক্ত। আর এই সার্ভিস চার্জ দেয়ায় রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বছরে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। তারা বলেন, বিপিসি সরকারি-বেসরকারি ৪২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তেল দিচ্ছে। এসব পাওয়ার প্লান্টের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। অথচ আইপিপিগুলো বলছে, বিপিসির কাছ থেকে তেল নিলে তাদের পাওয়ার প্লান্ট নষ্ট হয়ে যাবে। এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। মূলত তেল নিয়ে তেলেসমাতি করার জন্য আইপিপিগুলো বেসরকারি খাতে তেল আমদানির অনুমতি নিয়েছে। অভিযোগ আছে, এই তেল আমদানির নামে বছরে বিপুল অংকের টাকা পাচার হচ্ছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের এক সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এ পর্যন্ত ১৬টি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কোম্পানিকে তরল জ্বালানির ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৭২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতি ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের জন্য ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫০০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েলের প্রয়োজন পড়ে। ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে প্রতিনিয়তই বিপুল জ্বালানি তেলের প্রয়োজন হচ্ছে। বিপিসি বিদেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করছে। কিন্তু চাহিদা অনুসারে বিপুল তেল বিপিসি কর্তৃক এককভাবে আমদানি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ৩ বছর ধরে জ্বালানি বিভাগ থেকে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে তেল আমদানির সুযোগ দেয়া হয়।
বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকরা বলেছেন, জ্বালানি তেল আমদানির সুযোগ থাকায় ২-৩ বছর ধরে বিদ্যুৎ সেক্টরে গতিশীলতা এসেছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিপিসি ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লাভ করেছে। এর আগে ১৯৯৯ সাল থেকে বিপিসি একটি লোকসানি কোম্পানি ছিল। চলতি অর্থবছরে বিপিসি ২৬.৬ লাখ টন ডিজেল, ১.৩৭ লাখ টন পেট্রল, ১.৪৭ লাখ টন অকটেন, ২.১৩ লাখ টন কেরোসিন, ৩.৪৭ লাখ টন জেট ফুয়েল ও ৭.১১ লাখ টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করেছে।
বিপিসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহমুদ রেজা খান বলেন, বেসরকারি আইপিপিগুলোর চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল সরবরাহ করার মতো সক্ষমতা আছে বিপিসির। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিপিসির সরবরাহ করা তেল নিচুমানের বলে যে অভিযোগ দেয়া হচ্ছে সেটা সত্য নয় বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের একজন শীর্ষ নেতা যুগান্তরকে বলেন, জ্বালানি বিভাগ ও বিপিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ মাস ধরে বেসরকারিভাবে তেল আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তার মতে, বিপিসির আমদানি করা তেল ভেজাল ও নিুমানের। এই তেল দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালালে দ্রুত মূল্যবান মেশিনপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরিবেশ দূষিত হবে।
সম্প্রতি দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালানি তেল আমদানির অনুমতির জন্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছে। একটি বরকত উল্লাহ পাওয়ার, অপরটি অ্যাক্রন পাওয়ার কোম্পানি। বরকত উল্লাহ পাওয়ারের চাহিদা ৬০ হাজার মেট্রিক টন আর অ্যাক্রনের চাহিদা ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। বার্ষিক অনুমতি শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা এই ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল আমদানির অনুমতি চেয়েছিল। জ্বালানি বিভাগ তাদের দুটি আবেদন বিবেচনার জন্য বিপিসির কাছে পাঠালে বিপিসি তা নাকচ করে দেয়। বিপিসির পক্ষ থেকে জ্বালানি বিভাগকে জানানো হয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটি চালানোর জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত তেল আছে। কাজেই এই মুহূর্তে তাদের তেল আমদানির অনুমতি দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
বরকত উল্লাহ পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রাব্বানী চৌধুরী জানান, বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৪৬ শতাংশ উৎপাদন করছে। যদি তাদের উন্নত মানের তেল আমদানির অনুমতি দেয়া না হয় তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। কাজেই সরকারের উচিত হবে দ্রুত বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে আগের মতো উন্নত মানের তেল আমদানির অনুমতি দেয়া।
সরকার বরকত উল্লাহ পাওয়ারসহ ১২টি (আইপিপি) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে সামিট পাওয়ার নারায়ণগঞ্জ, ইসিপিভি চট্টগ্রাম, সিনহা পিপলস, কেপিসিএল ইউনিট-২, কেপিসিএল-৩, পাওয়ার প্যাক, ডিজিটাল পাওয়ার, ডাচ্-বাংলা ও ওরিয়ন পাওয়ার অন্যতম।
গত অর্থবছরে (২০১৫-২০১৬) বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ১২ লাখ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করেছে। তার আগের অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ ছিল ৯ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে বিপিসি ৪২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তেল সরবরাহ করছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য বেসরকারি খাতে কুইক রেন্টাল, রেন্টাল ও স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদকের কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রি করতে গিয়ে সরকারকে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সরকার জ্বালানি তেলের মূল্যের ওপর যে ৯ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিচ্ছে তা অতিরিক্ত। আর এই সার্ভিস চার্জ দেয়ায় রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বছরে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। তারা বলেন, বিপিসি সরকারি-বেসরকারি ৪২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তেল দিচ্ছে। এসব পাওয়ার প্লান্টের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। অথচ আইপিপিগুলো বলছে, বিপিসির কাছ থেকে তেল নিলে তাদের পাওয়ার প্লান্ট নষ্ট হয়ে যাবে। এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। মূলত তেল নিয়ে তেলেসমাতি করার জন্য আইপিপিগুলো বেসরকারি খাতে তেল আমদানির অনুমতি নিয়েছে। অভিযোগ আছে, এই তেল আমদানির নামে বছরে বিপুল অংকের টাকা পাচার হচ্ছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের এক সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এ পর্যন্ত ১৬টি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কোম্পানিকে তরল জ্বালানির ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৭২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতি ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের জন্য ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫০০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েলের প্রয়োজন পড়ে। ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে প্রতিনিয়তই বিপুল জ্বালানি তেলের প্রয়োজন হচ্ছে। বিপিসি বিদেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করছে। কিন্তু চাহিদা অনুসারে বিপুল তেল বিপিসি কর্তৃক এককভাবে আমদানি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ৩ বছর ধরে জ্বালানি বিভাগ থেকে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে তেল আমদানির সুযোগ দেয়া হয়।
বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকরা বলেছেন, জ্বালানি তেল আমদানির সুযোগ থাকায় ২-৩ বছর ধরে বিদ্যুৎ সেক্টরে গতিশীলতা এসেছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিপিসি ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লাভ করেছে। এর আগে ১৯৯৯ সাল থেকে বিপিসি একটি লোকসানি কোম্পানি ছিল। চলতি অর্থবছরে বিপিসি ২৬.৬ লাখ টন ডিজেল, ১.৩৭ লাখ টন পেট্রল, ১.৪৭ লাখ টন অকটেন, ২.১৩ লাখ টন কেরোসিন, ৩.৪৭ লাখ টন জেট ফুয়েল ও ৭.১১ লাখ টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করেছে।
No comments:
Post a Comment