আগামী মাসেই ১০ হাজার সরকারী চাকরির নিয়োগ - সময়ের প্রতিধ্বনি

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, September 6, 2016

আগামী মাসেই ১০ হাজার সরকারী চাকরির নিয়োগ


আগামী মাসেই ১০ হাজার সরকারী চাকরির নিয়োগ
কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে বিস্তারিত সকল তথ্য 



দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ১০ হাজার নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ৮ এপ্রিল গাজীপুরের কাশিমপুরের সারাবোর তেঁতুইবাড়ি এলাকায় শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নার্সিংয়ে স্নাতক, মাস্টার্স, পিএইচডিসহ উচ্চতর ডিগ্রি করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। শিগগির আরও ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়েছিল, তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুতগতিতে চলছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্স নিয়োগ করে বাংলাদেশ সরকারের সেবা পরিদপ্তর। এই পরিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ৪ হাজার ১০০ জনকে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। তাই এ পেশায় যাঁরা আসতে চান, তাঁরা এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন। এ পেশা শুরু করার আগে আপনাকে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং অথবা ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং (বিএসসি) কোর্স করতে হবে। বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে সরকারি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কলেজ আছে ৪৩টি। বেসরকারি কলেজ আছে প্রায় ৭০টি। এ ছাড়া সরকারি বিএসসি ইন নার্সিং কলেজ আছে নয়টি, বেসরকারি আছে ২১টি। এসব প্রতিষ্ঠান বছরের বিভিন্ন সময় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল থেকে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তো বটেই, বিদেশেও নার্সিং পেশায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। বিশেষ করে মালয়েশিয়া, কাতার, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। তাই এ পেশায় বর্তমানে যেমন রয়েছে সম্মান, তেমনি আছে সম্ভাবনা। এখানেও অন্যান্য চাকরির মতো ভালো বেতন ও অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি পদোন্নতির ব্যবস্থা আছে। দক্ষতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্স থেকে সিনিয়র স্টাফ নার্স ও সুপারিনটেনডেন্ট, নার্সিং ট্রেইনিং কলেজের প্রশিক্ষক হতে পারেন। 
এ ছাড়া সরকারের সেবা পরিদপ্তরের উচ্চপদস্থ পদে যেতে পারেন নার্সরা। নার্সিং পেশায় আসতে চাইলে আবেদনকারীকে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত যেকোনো নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং বা বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স পাস করতে হবে। এ জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা যেকোনো বিভাগ থেকে ন্যূনতম এইচএসসি পাস হতে হবে। অন্যদিকে, বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের জন্য বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিদ্যাসহ এইচএসসি পাস হতে হবে। 
এ ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৬ পয়েন্ট থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-২.৫০-এর কম থাকা যাবে না। বর্তমানে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্সগুলো তিন বছরের ও বিএসসি কোর্সটি চার বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। এসব কোর্স করানোর জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে খবরের কাগজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। ধাপে ধাপে কয়েকটি পরীক্ষা যেমন লিখিত, মৌখিক ও ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages