অনার্স শেষ করতে ৪-৫ বছর সময় লাগে, তারপর মাস্টার্স শেষ করতে ১-২ বছর। তারপর জবের জন্য প্রস্তুতি নিতে আরো ৬ মাস থেকে ১ বছর। অর্থাৎ আপনাকে একটা জব পেতে ৭-৮ বছর সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। তারপর জব পাচ্ছেন। জবের সেলারি কত? শুরুতে ধরলাম ২০-৩০ হাজার টাকা।
এই পরিমান টাকা যদি আপনি আউটসোর্সিং করে মাসে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে টানা একবছর সময় দিতে হবে, প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা করে। আপনি যদি কোথাও তিন মাসের কোর্স করেন (কোর্স না করলেও) এবং তার সাথে যদি প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা করে সময় দেন তাহলে তিন মাস পর আপনি মাত্র কাজ শুরু করতে পারবেন। শুরুতে আপনার ইনকাম তেমন একটা হবে না। আপনি প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা করে চেষ্টা চালিয়ে গেলে ধীরে ধীরে আপনার ইনকাম বাড়বে। এক বছর পর আপনি মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা করে ইনকাম করতে পারবেন। তারপর থেকে প্রতি বছরই আপনার ইনকাম দ্বিগুন করে বাড়বে।
নতুনরা অনেকে বলে আমার এতো ইনকাম করা লাগবে না। মাসে ৫-১০ হাজার টাকা হলেই হবে। তাদের উদ্দেশ্যে বলবো এই লাইনে তেমন সুযোগ নেই যে আপনি মাসে মাত্র ৫-১০ হাজার টাকা করে ইনকাম করবেন। ইনকাম করতে পারলে অনেক টাকাই করতে পারবেন আর না করতে পারলে এক টাকাও করতে পারবেন না। বিকল্প একটা কাজ আছে যে কাজ থেকে আপনি মাসে ৫-১০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটা হলো ডেটা এন্ট্রি। তবে এই কাজে আপনাকে দ্বিগুন সময় দিতে হবে। ডেটা এন্ট্রির কাজ করলে যত ইনকাম করতে পারবেন তার চেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারবেন টিউশনি করলে।
জানি আপনি ছাত্রজীবনে তেমন একটা পড়াশোনা করেন নাই, ফাঁকি দিয়েছেন। পরীক্ষা আসলেই কেবল পড়াশোনা করেছেন নয়তো করেন নাই। এমনটা শুধু আপনি না প্রায় সবাই করে। ছাত্রজীবনে যেভাবে পড়াশোনা করেছেন সেভাবে যদি আউটসোর্সিংয়ের চেষ্টা করেন তাহলে আপনাকে মাসে ২০-৩০ হাজার করে টাকা ইনকাম করতে ৩-৪ বছর সময় দিতে হবে।
অনেককে দেখা যায় জবের পাশাপাশি আউটসোর্সিং করে অল্প সময়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে। এমনটা কারা করতে পারে? যারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ গুলো আগে থেকেই জানে, জানে না শুধু কীভাবে আউটসোর্সিং করতে হয় তারা। তারা এক-দুই মাস সময় দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের নিয়ম-কানুনগুলো জেনে করতে পারে। আর যারা কাজ জানে না, আগে কাজ শিখবে তারপর কাজ করবে তাদেরকে উপরে যেভাবে বলেছি সেভাবে সময় দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment