মুসলিম আইনের বিধান মোতাবেক, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন প্রকার বিনিময়/ প্রতিদান ছাড়া কোন সম্পত্তি হস্তান্তর করাকে হেবা বা দান বলে। হেবা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এবং সৎমনোভাব নিয়ে করতে হবে। কাউকে প্রতারিত বা অন্য কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে হেবা করা যাবে না।
প্রখ্যাত মুসলিম আইনবিদ D. F. Mulla হেবার সজ্ঞা দিয়েছেন, “হেবা বা দান হল কোন প্রতিদান বা বিনিময় ব্যতিরেকে কোন সম্পত্তির তাৎক্ষনিক হস্তান্তর যা এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে প্রদান করা হয় এবং অপর ব্যক্তি কর্তৃক তা বা তার পক্ষে গ্রহণ করা হয়।”
W.H. Macnaghten বলেন, “দান হল প্রতিদান ব্যতিরেকে কোন সম্পত্তির অধিকার অর্পণ বা প্রদান করা।”
হেবার আবশ্যকীয় শর্তঃ
• দাতার দান করার ঘোষনা বা ইচ্ছা প্রকাশ।
• গৃহীতা বা তার পক্ষে দান গ্রহন করা।
• অনতিবিলম্বে দান হস্তান্তর।
• গৃহীতা বা তার পক্ষে দান গ্রহন করা।
• অনতিবিলম্বে দান হস্তান্তর।
হেবা করার যোগ্যতাঃ
• সুস্থ মস্তিস্কসম্পন্ন হতে হবে।
• প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে।
• দান অবশ্যই সেচ্ছায় করতে হবে, কারও প্ররোচনা বা বল প্রয়োগে করা যাবে না।
• প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে।
• দান অবশ্যই সেচ্ছায় করতে হবে, কারও প্ররোচনা বা বল প্রয়োগে করা যাবে না।
হেবা প্রত্যাহারঃ
দান, দখল অর্পনের পূর্বে যেকোন সময় হেবা প্রত্যাহার করা যায়। দান হস্তান্তরের পর প্রত্যাহার করতে হলে আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে। উপযুক্ত কারণ বিবেচনা করে আদালত দান প্রত্যাহারের ডিক্রী দিতে পারেন তবে এক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ারেরও সীমাবদ্ধতা আছে।
হেবা বা দান রেজিস্ট্রেশনঃ
মৌখিক ভাবেও হেবা করা যায় যদি হেবার শর্তাবলী পালন করা হয়। তবে বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে হেবা লিখিতভাবে করতে হয়। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আইন প্রযোজ্য হবে। রেজিস্ট্রেশন আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ী লিখিত দলিল টি রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক।
আজহার শাহী, সিলেট বিভাগীয় প্রধান।




No comments:
Post a Comment