ইসলামিক জীবন ব্যবস্থা পরিপূর্ণরূপে ধারণ করলে মানবজীবনে শান্তির ধারা প্রসারিত হবে। ইহলোকে সাধিত হবে কল্যাণ আর পরকালে রয়েছে উত্তম প্রতিদান। ইসলাম রান্নাঘর থেকে রাষ্ট্রের প্রতিনিধি পর্যন্ত সর্ব বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়।
ইসলাম অনুসারে আদব-কায়দা ও এক মুসলমান অপর মুসলমানের প্রতি আচরণ এবং কল্যাণ কামনার রীতি-নীতিঃ
আদাব শব্দের অর্থ
আলআদাবু শব্দটি আদাবু এর বহুবচন। এর আভিধানিক অর্থ শিষ্টাচারিতা, ভদ্র ব্যবহার, উন্নত আচরণ। আবার এর আরেকটি অর্থ হলো রীতি-নীতি, যেমন বলা হয় পাঠের রীতি নীতি বা বিচারকের রীতি নীতি। আদাব শব্দটি বাবে কারিমু ইয়াকরিমু এর মাসদার হতে পারে। তখন এর অর্থ হবে উন্নত চরিত্রের অধিকারী হওয়া ও শিষ্টাচারপূর্ণ হওয়া। আদাবের ভাষাগত কয়েকটি সংজ্ঞা পাওয়া যায়। যেমন মিরকাত প্রণেতা বলেন “প্রশংসনীয় কথা ও কাজকে আদাব বলা হয়।” ইমাম সুয়ুতী (রঃ) বলেন- “উত্তম চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করাকেই আদাব বলে।”
কেউ কেউ বলেন-ভাল কাজের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা এবং মন্দ কাজ হতে বিরত থাকার নাম আদাব আবার
কারো মতে- বড়দের সন্মান করা এবং ছোটদের স্নেহ করাকে আদাব বলে। আদাব হচ্ছে আরবী ভাষার একটি শব্দ যার বাংলা হিসেবে আমরা আদব বলে থাকি।
সালাম শব্দটির আভিধানিক অর্থ নিম্নরূপঃ
১.দোষ ক্রটি হতে মুক্ত থাকা।
২.শান্তি ও নিরাপত্তা বিধান করা।
৩.স্বাগতম ও অভিবাদন জানানো।
৪.আনুগত্য প্রকাশ করা।
আল্লামা রাগেব ইস্পাহানী (র) বলেন, সালাম শব্দটি আল্লাহর একটি নাম। কেননা আল্লাহ যাবতীয় দোষ ত্রুটি হতে মুক্ত। পরিভাষাগত অর্থে মুসলমানদের পরস্পর সাক্ষাতে আসসালামু আলাইকুম বলে দুয়া কামনা, নিরাপত্তা দান ও কুশল বিনিময়কে সালাম বলা হয়। সালাম ইসলামের শিক্ষার মধ্য অন্যতম ওলামায়ে কিরামের ইজমা হয়েছে যে, সালাম দেয়া সুন্নত। আর সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব। অবশ্য কারো কারো মতে সালামের মতো উত্তর দেয়াও সুন্নত। নামাজরত ব্যক্তি,পানাহাররত অবস্থা, মল-মুত্র ত্যাগ, কুরআন তিলায়াত অবস্থায় সালাম দেয়া ও উত্তর প্রদান করা মাখরুহ।
হাদীসের আলোকে আদাব ও সালামঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন- যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পুর্ণ ঈমান আনবেনা ,ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। আর তোমরা পুর্ণ ঈমানদার হতে পারবেনা, যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে।
ইমাম মুসলিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন- আমি কি তোমাদেরকে এমন এক জিনিসের সন্ধান দিব না যা তোমরা পালন করলে পারস্পারিক ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে? (তা হলো) তোমরা নিজেদের মধ্য সালামের ব্যপক প্রচলন কর।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন-
আরোহী ব্যক্তি পদব্রজে গমনকারী ব্যক্তিকে, পদব্রজে গমনকারী ব্যক্তি উপবিষ্ট ব্যক্তিকে এবং কমসংখ্যক লোক বেশী সংখ্যক লোককে সালাম দেবে। বুখারী-মুসলিম (৪৪৩৭/৭)
হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একবার কিছু সংখ্যক বালকের নিকট দিয়ে পথ অতিক্রম করলেন এবং তাদের কে সালাম দিলেন। বুখারী-মুসলিম
১.দোষ ক্রটি হতে মুক্ত থাকা।
২.শান্তি ও নিরাপত্তা বিধান করা।
৩.স্বাগতম ও অভিবাদন জানানো।
৪.আনুগত্য প্রকাশ করা।
আল্লামা রাগেব ইস্পাহানী (র) বলেন, সালাম শব্দটি আল্লাহর একটি নাম। কেননা আল্লাহ যাবতীয় দোষ ত্রুটি হতে মুক্ত। পরিভাষাগত অর্থে মুসলমানদের পরস্পর সাক্ষাতে আসসালামু আলাইকুম বলে দুয়া কামনা, নিরাপত্তা দান ও কুশল বিনিময়কে সালাম বলা হয়। সালাম ইসলামের শিক্ষার মধ্য অন্যতম ওলামায়ে কিরামের ইজমা হয়েছে যে, সালাম দেয়া সুন্নত। আর সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব। অবশ্য কারো কারো মতে সালামের মতো উত্তর দেয়াও সুন্নত। নামাজরত ব্যক্তি,পানাহাররত অবস্থা, মল-মুত্র ত্যাগ, কুরআন তিলায়াত অবস্থায় সালাম দেয়া ও উত্তর প্রদান করা মাখরুহ।
হাদীসের আলোকে আদাব ও সালামঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন- যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পুর্ণ ঈমান আনবেনা ,ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। আর তোমরা পুর্ণ ঈমানদার হতে পারবেনা, যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে।
ইমাম মুসলিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন- আমি কি তোমাদেরকে এমন এক জিনিসের সন্ধান দিব না যা তোমরা পালন করলে পারস্পারিক ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে? (তা হলো) তোমরা নিজেদের মধ্য সালামের ব্যপক প্রচলন কর।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন-
আরোহী ব্যক্তি পদব্রজে গমনকারী ব্যক্তিকে, পদব্রজে গমনকারী ব্যক্তি উপবিষ্ট ব্যক্তিকে এবং কমসংখ্যক লোক বেশী সংখ্যক লোককে সালাম দেবে। বুখারী-মুসলিম (৪৪৩৭/৭)
হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একবার কিছু সংখ্যক বালকের নিকট দিয়ে পথ অতিক্রম করলেন এবং তাদের কে সালাম দিলেন। বুখারী-মুসলিম
বিশ্বমানবতার শ্রেষ্ঠ মুক্তির দূত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তিনি শিখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে মুসলিম ভাতৃত্ব সুদৃঢ় ও মজবুত হবে। কিভাবে মানুষকে সন্মান দিতে হবে। তিনি আমাদের জন্য রেখে গেছেন সুন্নাহ যার অনুকরণ করলে আমাদের মধ্য সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে। দুনিয়ায় সম্মানের জীবন যাপন করতে পারবো আর আখিরাতের অনন্ত জীবনে থাকবে শান্তি আর শান্তি। তাই আসুন আমরা সকলে আল্লাহর কিতাব কুরআন এরং রাসুলের (সাঃ) সুন্নাহ মেনে চলি তাহলে পথভ্রষ্ট হবনা।
(তথ্য সুত্র-মিশকাতুল মাসাবীহ)




No comments:
Post a Comment