নরসিংদীতে এক নারী শ্রমিককে পালাক্রমে ধর্ষণ ও ভিডিও করার দায়ে ছয় আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া ধর্ষণের চিত্র ধারণের অপরাধে পর্নোগ্রাফি আইনে আসামিদের সবাইকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয় হয়।
এছাড়া ধর্ষণের চিত্র ধারণের অপরাধে পর্নোগ্রাফি আইনে আসামিদের সবাইকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয় হয়।
মঙ্গলবার দুপর ৩টার দিকে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক শামীম আহাম্মেদ এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পলাশ উপজেলার বাগপাড়া গ্রামের কুদ্দুস আলী ছেলে আশিকুর রহমান (২০), একই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে ইলিয়াস ওরফে শফিকুল (২০), সিরাজ শেখের ছেলে রোমিন মিয়া (২০), মন্টু মিয়ার ছেলে ইবরাহিম (২২), হানিফা মিয়ার ছেলে রবিন আহমেদ (২০) ও সাদ্দাম হোসেনের ছেলে আবদুর রহমান (২৪)।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩ মে ঘোড়াশাল প্রাণ কোম্পানির এক নারী শ্রমিক (৩০) টিফিনের সময় খেতে বের হন। এসময় আসামিরা তাকে ফুসলিয়ে পাশের এটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে দিনেদুপুরে আসামিরা ওই নারী শ্রমিককে মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
অন্যদিকে কয়েকজন একাধিক মোবাইলে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে। এরপর ধর্ষকরা গুরুতর অসুস্থ আবস্থায় তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলা করেন। আদালত বাদীসহ ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও ভিডিওচিত্রের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট রিনা দেবনাথ ও সাবেক স্পেলাল পিপি অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম, এপিপি অ্যাডভোকেট এমএন অলিউল্লা ও অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এমএ আওয়াল।
No comments:
Post a Comment