ধর্ষিত হলে প্রাথমিকভাবে করণীয় - সময়ের প্রতিধ্বনি

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Thursday, August 25, 2016

ধর্ষিত হলে প্রাথমিকভাবে করণীয়


ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। তারপরও সমাজে এই অপরাধ বেড়েই চলেছে। তাই এ সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকা জরুরি। আপনার পরিচিতি বা প্রতিবেশী কেউ যদি ধর্ষণের শিকার হন তখন আপনি কী করবেন? এই করণীয় ঠিক না থাকার কারণে অনেক সময় আইনি লড়াই করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তাই একজন সচেতন নাগরিক, প্রতিবেশী, সবচেয়ে বড় কথা একজন মানুষ হিসেবে করণীয়টি জেনে রাখুন এবং ধর্ষিতাকে সাহায্য করুন। প্রশ্ন আসতেই পারে আপনি কী সাহায্য করবেন? নিচে দেওয়া হলো কীভাবে আপনি সহায়তা করতে পারবেন সেই উপায়গুলো।
  • ধর্ষণের ঘটনাটি নির্ভরযোগ্য কাউকে জানান যিনি নির্যাতিতাকে মানসিক সাহস দিতে পারবেন।
  • সাক্ষী হিসেবে কাজে লাগানো যায় এমন কোনো বিশ্বস্ত মানুষকে জানান সে আত্মীয়, বন্ধু, পুলিশ, চিকিৎসকও হতে পারেন।
  • ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে ফেলতে হবে।
  • কোনোভাবেই নির্যাতিতাকে গোসল করে আলামত নষ্ট করতে দেবেন না। তাতে শারীরিক আলামতগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি পরনের কাপড়ও পরিষ্কার করা যাবে না। কাপড়গুলো পলিথিনে রাখা যাবে না বরং সেগুলো কাগজের ব্যাগে বা কাগজে মুড়িয়ে থানায় নিয়ে যেতে হবে।
  • সবচেয়ে দ্রুত যে কাজটি করতে হবে তা হলো নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করে অভিযোগ জানাতে হবে। অভিযোগ যে কেউ করতে পারেন।
  • যিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনিই মামলার প্রধান সাক্ষী। তাঁর জবানবন্দি পুলিশকে গ্রহণ করতে হবে। তবে কোনো ধরনের অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি বাধ্য নন।
অনেকেই ভেবে থাকেন ডাক্তারি পরীক্ষা বা চিকিৎসা অনেক খরচের ব্যাপার। কিন্তু সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হবে এবং তা বিনামূল্যে দিতে হবে। পরবর্তী চিকিৎসাও সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে হবে।
আইনি সহায়তা পাওয়া নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই কারণ :
  • প্রথমেই ভিকটিম পুলিশের কাছ থেকে সব রকম সহায়তা পাওয়ার অধিকারী। জেলা জজের আওতায় প্রতিটি জেলায় আইন সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে আবেদন করলে ভিকটিম আর্থিক অথবা আইনজীবীর সহায়তা পেতে পারেন।
  • বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে শেল্টার, আইনগত সহায়তা পেতে পারেন।
  • থানায় এবং হাসপাতালে ‘ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে’ আইনগত ও চিকিৎসা পেতে পারেন।
আরেকটি বিষয়ে সোচ্চার হোন কখনো কোনো ধর্ষণের ঘটনায় আপস-মীমাংসা করা যাবে না। কারণ ধর্ষকের পরিচয় সে একজন ধর্ষক। তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আজকে আপনি তার সঙ্গে আপস করলে সে কালকেই আরেকজনকে ধর্ষণ করবে। কোনোভাবেই কোনো ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। সে নানা রকম ভয় দেখাতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন সে অপরাধী তার শক্তি কোনোভাবেই আপনার চেয়ে বেশি নয়।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages