বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের অবস্থা ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। বর্তমানে এ ভারসাম্যের রেকর্ড পরিমাণ উদ্বৃত্ত জমা হয়েছে।
চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) এ ভারসাম্যের উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ২৮২ কোটি ৫০ লাখ ডলারে। অথচ আগের অর্থবছরের একই সময়ে ১২ কোটি ডলারের ঘাটতি ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত কিছুটা কমে ৮২ কোটি ১০ লাখ ডলারে নামলেও গত ফেব্রুয়ারিতে তা অনেকটাই বেড়ে গেছে। আর মার্চের তা বেড়ে ২৮২ কোটি ৫০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সাধারণভাবে চলতি হিসাবের মাধ্যমে দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেনের হিসাব প্রতিফলিত হয়। অর্থাৎ নিয়মিত আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত থাকলে বোঝায় যায় যে, নিয়মিত লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। আর ঘাটতি থাকলে ঘাটতি পূরণ করতে ঋণ নিতে হয়।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, আলোচ্য সময়ে পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা বেড়েছে। জানুয়ারি মাসে পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৩৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার, সেখানে মার্চে এসে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৮৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি এখনো কম রয়েছে। গত অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬৭৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
এ ব্যাপার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান আরটিএনএন- কে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মুদ্রানীতির ফলে এক দিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। অন্যদিকে দেশের সার্বিক অর্থনীতি নানা ধরনের সমস্যার মধ্যেও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ অবস্থা বিদ্যমান থাকলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য ঘাটতি সহনীয় মাত্রায় আনা সম্ভব হবে।
No comments:
Post a Comment