অব্যাহত গ্রাহক হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ব্র্যাক ব্যাংক পরিচালিত মোবাইল ব্যংকিং সেবা বিকাশ বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এই আহবান জানান সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু। ওই স্মারকলিপিতে তিনি সরকারের মালিকানাধীন টেলিটকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্রবস্থাপনায় নতুন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর আহবান জানান।
স্মারকলিপিতে তিনি অভিযোগ করেন, ব্র্যাক ব্যাংক পরিচালিত বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রাহকের গচ্ছিত টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকরা বিকাশ অফিস ও সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার, প্রশাসনের লোকজনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না।
বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করে ৬৪ জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহক এবং এজেন্ট ব্যবসায়ীরা। এজেন্ট ব্যবসায়ীদের অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা। সাধারণ গ্রাহক ও বিকাশ এজেন্টের সিম রিপ্লেসমেন্ট/হ্যাক করে অর্থ লুটসহ নানাবিধ হয়রানি, প্রতারণার অভিযোগ বিটিআরসি, বিকাশ, সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর, পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর পরও ভুক্তভোগীরা কোনো সমাধান পাচ্ছে না বলেও স্মারকলিপিতে বরা হয়।
ভুক্তভোগীরা তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশের হেল্প লাইনে যোগাযোগ করে কোনো সুরাহা পায় না, এমন অভিযোগও আনা হয় ওই স্মারকলিপিতে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী এর সব দ্বায়-দায়িত্ব বিকাশ কর্তৃপক্ষের। তবে বিকাশ কর্তৃপক্ষ দায়ভার নিতে অস্বীকার করছে। বিকাশ কর্তৃপক্ষ যদি এজেন্ট ব্যবসায়ীদের দায়ভার না নেয় তাহলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন সর্বশান্ত হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে অনেক ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে একের পর এক টাকা উধাও হয়ে যাওয়ায় সর্বশান্ত হয়ে গেছেন। এমনকি ব্যবসা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন অনেকে, এমন দাবিও করা হয় ওই স্মারকলিপির মাধ্যমে।
স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, ব্র্যাক ব্যাংক পরিচালিত বিকাশকে বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে টেলিটকের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবস্থা করা যাতে ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment