কোরআন হাদিসের আলোকে পরিবার পরিজন - সময়ের প্রতিধ্বনি

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Saturday, August 27, 2016

কোরআন হাদিসের আলোকে পরিবার পরিজন


কোরআন বলছে-
রাব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াজিনা অজুররিই ইয়াতিনা কুররাতা আউনিউ ওয়াজআল্‌না লিলমুত্তাকিনা ইমামা।


তরজমাঃ হে আমাদের প্রভু। তুমি আমাদেরকে আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের মাধ্যমে চক্ষুর স্নিগ্ধতা দান কর। আমাদেরকে মুত্তাকীদের ইমাম বানাও। সূরা ফুরকানঃ ৭৫

হাদিস বলছেঃ আন আবদুল্লাহ ইবনে আওফা ক্বলা ক্বলা রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ওয়াল্লাযি নাফসু মুহাম্মাদিন বিইয়াদিহি লা তুওয়াদ্দিল মারআতু হাক্কা রাব্বিহা হাত্তা তুওয়াদ্দি হাক্কা
যাওজিহা- ইবনে মাজা।

তরজমাঃ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আওফা (রা·) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ্‌ (সা·) বলেছেন, আমি সেই সত্তার কসম খেয়ে বলছি, যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, কোন মহিলা ততক্ষণ পর্যন্ত খোদার হক আদায় করতে পারে না যতক্ষণ না সে তার স্বামীর হক আদায় করে- ইবনে মাজা।

ভাব ব্যাখ্যাঃ হজরত নবী করীম (সা·) একদিকে পুরুষদেরকে তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করার শিক্ষা দিয়েছেন অন্যদিকে স্ত্রীদের জোরালোভাবে তাগিদ দিয়েছেন তারা যেন স্বামীর হক ও অধিকার আদায় করে। একটি গৃহে ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তিময় কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না যতক্ষণ না স্বামী-স্ত্রীর সুখময় সম্পর্ক বিরাজ করে। হজরত নবী করীম (সা·) অন্য এক স্থানে বলেছেন, কারও স্বামী যদি স্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্ট অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তবে সেই স্ত্রী খোদার ইচ্ছায় জান্নাতে যাবে।

কোরআনের আয়াত ও হাদিস থেকে জানা যায়, স্ত্রী হচ্ছে ঘরের শান্তির প্রতীক, এমন স্ত্রী, যে ঘরে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করার চেষ্টায় থাকে। খোদা তাআলা তখন তার সাহায্যকারী হয়ে যান। এমন গৃহে খোদার তরফ থেকে বরকত ও আশীশ বর্ষিত হয়।

আল্লাহর রাসূল কসম খেয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন যে, খোদা তাআলার দৃষ্টিতে সেই সফলকাম হবে, যে এ জগতে মানবীয় সম্পর্কের প্রতি খেয়াল রাখবে। এমন হৃদয় খোদার প্রতিও ঝুঁকবে। কারণ মানব-প্রেমই খোদা-প্রেমে রূপান্তরিত হয়। আজকের সমাজে সামাজিক অস্থিরতার অন্যতম কারণ স্বামী-স্ত্রীর সমঝোতার অভাব। ফলে নৈতিকতার অধঃপতন প্রকট রূপ ধারণ করছে। যে শিক্ষা মানব জীবনে শান্তি বয়ে এনে দিতে পারে আজ আমরা এ শিক্ষা থেকে দূরে চলে এসেছি। ঘরের শান্তিই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। সুতরাং স্ত্রীরা যদি তাদের স্বামীদের হক আদায়ে সজাগ হয় তবে সন্তানের জীবন উন্নততর হবে। আর এ সবকিছুই দোয়ার মাধ্যমে সম্ভব, আল্লাহ করুন আমরা যেন হজরত (সা·)-এর শিক্ষার ওপর আমল করে সুখের সংসার গড়ে তুলতে পারি।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages