পবিত্র কুরআন যখন সুদকে হারাম ঘোষণা করেছে, সুতরাং এটি হারাম হয়ে গেছে। চাই তা বিবেকে আসুক বা না আসুক। দেখুন, পবিত্র কুরআন মুশরিকদের উক্তি উদ্ধৃত করে বলছে :
انَّمَا البَيْعُ مِثْلُ الٍّربَا.
‘ব্যবসা তো সুদেরই মত।’ (সুরা বাকারা : আয়াত 275)
সুদ হারাম ঘোষিত হওয়ার পর কাফের-মুশরিকরা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, সুদ আবার হারাম হবে কেন? ব্যবসা আর সুদ তো একই রকম। মানুষ ক্রয়-বিক্রয় দ্বারাও লাভবান হচ্ছে, সুদের কারবার দ্বারাও লাভবান হচ্ছে। কিন্তু পবিত্র কুরআন এই উক্তির জবাবে দুয়ের মধ্যকার কোন পারথক্য বর্ণনা করেনি যে, না ব্যবসা আর সুদ এক বস্তু নয়। দুয়ের মাঝে ব্যবধান আছে। বরং বলেছে :
وَاَحَلَّ اللّهُ البّيْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبَا.
‘আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম।’ (সূরা বাকারা : আয়াত 275)
অর্থাৎ সুদকে আল্লাহ পাক হারাম করে দিয়েছেন। কাজেই কারো এখানে টু-শব্দটি করার সুযোগ নেই। কেন হারাম করা হল? এই প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ নেই। এখানে বিবেককে ব্যবহার করা মূলত বিবেককে ভুল জায়গায় ব্যবহার করার নামান্তর।
No comments:
Post a Comment