দশটি বিষয় আছে যা আপনার ইসলামকে বিনষ্ট করতে পারে : প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জানা খুবই জরুরী - সময়ের প্রতিধ্বনি

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Saturday, August 27, 2016

দশটি বিষয় আছে যা আপনার ইসলামকে বিনষ্ট করতে পারে : প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জানা খুবই জরুরী

দশটি এমন বিষয় আছে যা  আপনার ইসলামকে বিনষ্ট করতে পারে। আপনার ঈমানকে ছিনিয়ে নিতে অনায়েসে।  তাই উক্ত বিষয় গুলো প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের জেনে রাখা একান্ত জরুরি। যেন ঐসকল বিষয় থেকে বেঁচে থাকা যায়। 


১৷ আল্লাহর ইবাদতে কোন কিছুকে শরীক করা:
আল্লাহ তাআলা বলেন: إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ “নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না, তা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন৷” সূরা আন-নিসা: ৪৮মৃত ব্যক্তির নিকট প্রার্থনা, ফরিয়াদ এবং মৃত ব্যক্তির নামে মানত ও জবেহ করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত ৷

২৷ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর মাঝে অন্যদেরকে মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করে ও তাদের কাছে প্রার্থনা জানায়, তাদের নিকট সুপারিশ কামনা করে এবং তাদের উপর ভরসা করে, সে আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে কাফের ৷

৩৷ মুশরিকদেরকে অমুসলিম ও কাফের বলে বিশ্বাস না করা বা তাদের কুফরীতে সন্দেহ পোষণ করা অথবা তাদের ধর্মমতকে সঠিক বলে মন্তব্য করা ৷

৪৷ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনীত ত্বরীকার চেয়ে অন্য ত্বরীকা কে পরিপূর্ণ বলে বিশ্বাস করা অথবা নবীর আনীত বিধান থেকে অন্য বিধানই উত্তম বলে মনে করা৷ এরূপ আকীদা পোষন কারী ব্যক্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে কাফের বলে বিবেচিত৷ যেমন কোন ব্যক্তি তাঁর আনীত বিধানের উপর তাগুতের (মানব রচিত) বিধানকে অগ্রাধিকার দিল, এবং কোরআন-হাদীসের সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে -বৈধ জ্ঞানকরে- মানব রচিত বিধানে বিচার-শাসন করল ৷

৫৷ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত কোন বিধানের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা যদিও উক্ত বিধানের উপর আমল করা হয়৷ যদি কোন মুসলিম এরূপ করে তাহলে সে শরীয়তের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাফের বলে বিবেচিত হবে ৷
কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন:ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَرِهُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأَحْبَطَأَعْمَالَهُمْ “এটি এ জন্য যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তারা তা অপছন্দ করে, সুতরাং আল্লাহ তাদের কর্মসমূহকে নিষ্ফল করে দেবেন”৷ সূরা মুহাম্মাদ: ৯

৬৷ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত কোন সামান্য বিষয় অথবা এর সওয়াব-প্রতিদান বা শাস্তির বিধানের প্রতি কোনরূপ ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা কুফরী ৷
কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন:قُلْ أَبِاللَّهِوَآَيَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُونَ ﴿65﴾ لَا تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ “বল! তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর নিদর্শন ও তাঁর রাসূলকে বিদ্রূপ করছিলে? তোমরা আর অজুহাত দাড় করো না, তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরী করেছ৷” সূরা আত-তাওবা: ৬৫-৬৬

৭৷ যাদু করা ও যাদুর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া, সুতরাং যে যাদু করল অথবা যাদুর প্রতি সন্তুষ্ট থাকল সে কুফরী করল ৷
কেননা আল্লাহ তাআল বলেন:وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُفِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ “তারা কাউকে (যাদু) শিক্ষা দিত না এ কথা না বলে যে, আমরা পরীক্ষা স্বরূপ; সুতরাং তুমি কুফরী কর না৷” সূরা আল-বাকারা : ১০২

৮৷ মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাবত: অমুসলিম তথা ইহুদি, খ্রিস্টান বা মুশরিক প্রমূখদের সাহায্য করা৷
কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন:وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَايَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ “তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন হবে, নিশ্চয় আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে সত্‍পথে পরিচালিত করেন না”৷ সূরা আল-মায়িদাহ: ৫১

৯৷ যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে, কিছু লোক আছেন যাদের জন্যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরীয়ত থেকে বের হয়ে যাওয়ার অনুমতি আছে৷ এরূপ বিশ্বাস পোষন কারী ব্যক্তি শরীয়তের বিবেচনায় কাফের বলে বিবেচিত হবে৷
কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন:وَمَنْ يَبْتَغِغَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآَخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ“কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন বা ধর্ম গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনও কবুল হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত”৷ সূরা আলে ইমরান: ৮৫

১০৷ আল্লাহ প্রদত্ত দ্বীন, ইসলামকে উপেক্ষা করে চলা৷ এর বিধি বিধান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও সে অনুযায়ী আমল না করা ৷
কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন:وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذُكِّرَ بِآَيَاتِ رَبِّهِ ثُمَّ أَعْرَضَعَنْهَا إِنَّا مِنَ الْمُجْرِمِينَ مُنْتَقِمُونَ “যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী দ্বারা উপদিষ্ট হয়ে তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় সে অপেক্ষা অধিক যালিম আর কে? আমি অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে থাকি”৷ সূরা আস সিজদা: ২২উল্লেখিত ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয় সমূহে স্বেচ্ছায় জড়িত হওয়া আর ঠাট্টা-বিদ্রূপ কিংবা ভয়ভীতির করণে জড়িত হওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই৷ অবশ্য কেহ জোরপূর্বক বাধ্য করলে অন্য কথা৷ ক্ষতির দিক থেকে আলোচিত কারণগুলোর প্রত্যেকটিই খুবই ভয়াবহ ও মারাত্মক৷ আর বিষয়গুলো অনেক মুসলিমের জীবনে অহ-রহ সংঘটিত হয়ে থাকে৷ অতএব প্রতিটি মুসলমানের উচিত এ বিষয়গুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখা ও সতর্ক থাকা ৷

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages